ভিসা ছাড়া বিদেশ যাওয়া কি কল্পনা করা যায় এই সময়ে। কিন্তু হয়তো জানেন না যে ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ২৫ টি দেশে যাওয়া যায়। ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে:
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আছে : ভুটান (যত দিন ইচ্ছা), শ্রীলংকা (৩০ দিন) ।
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে : কেনিয়া (৩ মাস), মালাউই (৯০ দিন), সেশেল (১ মাস) ।
আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে : ডোমিনিকা (২১ দিন), হাইতি (৩ মাস), গ্রানাডা (৩ মাস), সেন্ট কিট্স এন্ড নেভিস (৩ মাস), সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস), টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন), মন্টসের্রাট (৩ মাস),ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন), ওশেনিয়া মহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস), কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন), নাউরু (৩০ দিন), পালাউ (৩০ দিন), সামোয়া(৬০ দিন), টুভালু (১ মাস), নুউ (৩০ দিন), ভানুয়াটু (৩০ দিন), মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন)।
সূত্র: ইন্টারনেট।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আছে : ভুটান (যত দিন ইচ্ছা), শ্রীলংকা (৩০ দিন) ।
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে : কেনিয়া (৩ মাস), মালাউই (৯০ দিন), সেশেল (১ মাস) ।
আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে : ডোমিনিকা (২১ দিন), হাইতি (৩ মাস), গ্রানাডা (৩ মাস), সেন্ট কিট্স এন্ড নেভিস (৩ মাস), সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস), টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন), মন্টসের্রাট (৩ মাস),ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন), ওশেনিয়া মহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস), কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন), নাউরু (৩০ দিন), পালাউ (৩০ দিন), সামোয়া(৬০ দিন), টুভালু (১ মাস), নুউ (৩০ দিন), ভানুয়াটু (৩০ দিন), মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন)।
সূত্র: ইন্টারনেট।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা এমন একজন মদ প্রস্তুতকারীর সমাধি খুঁজে পেয়েছেন যিনি তিনহাজার বছরেরও বেশি সময় আগে লুক্সরে একটি পুরনো মিশরীয় আদালতে মদ পরিবেশন করতেন।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, ওই ব্যক্তিকে ভেতরে কবর দেয়া হয়েছে। এটা ‘হেড অব বিয়ার প্রোডাকশন’ ছিল।
জাপানের প্রত্নতত্ত্ববিদরা তৃতীয় ফারাও আমেনহোতেপের শীর্ষ এক কর্মকর্তার সমাধি নিয়ে কাজ করার সময় ওই ব্যক্তির সমাধিটি খুঁজে পান। তৃতীয় ফারাও আামেনহোতেপ ১৩৫৪ বিসি তে মারা যান।
লুক্সরে বিশাল ও বিখ্যাত মন্দির রয়েছে যেটা তৃতীয় আমেনহোতেপ ও পরে দ্বিতীয় রামেসেস নির্মাণ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সমাধিটির দেয়ালের রং খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং সেখানে দৈনন্দিন জীবন বিশেষ করে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান চিত্রিত হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দেশটির প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিশরের আল-আহরাম পত্রিকাকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত খনন কাজ সম্পন্ন না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সামাধির চারপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থাকবে।
তিনি আরো জানান, খনন কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর এটা দর্শণার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে। যদিও এর প্রয়োজনীয় উদ্ধার কার্যক্রম এরপরও চলবে।
ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল ফকির
ভবিষ্যৎ এর শিশুরা যেভাবে জন্ম নিবে
ফুটবল খেলা নিয়ে মজার ভিডিও
সাদা কুমির !
The Most Iconic Photos Of The 1940s: Hitler in Paris, 1940
Taken at the height of World War Two and after Adolf Hitler had taken Paris, this picture depicts Hitler surveying his conquest with his various cronies and became one of the most iconic photos of the 1940s and World War 2.
The Last Jew in Vinnitsa, 1941
This powerful image of the death of the last Jew in Vinnitsa, Ukraine, was found in the album of an Einsatzgruppen soldier. The name of the image comes from the label at the back of the photo, and succinctly conveys what happened in Vinnitsa: all 28,000 of the Jews living there were killed.
Warsaw Ghetto Uprising, 1943
Shot in 1943, this is one of the best-known pictures of World War Two, as it depicts the terror inspired by the Nazis. The image shows the destruction of the Warsaw Ghetto, which was home to thousands of Jewish citizens escaping the Nazi regime. Though the most poignant part of picture is the frightened little boy in the foreground with his hands up as he is forcibly removed from his hiding place.
আজকাল লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙানো নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড। কম বয়স্ক মেয়েরা থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী অনেক নারীই ঠোঁট রাঙাচ্ছেন লাল রঙে। বলাই বাহুল্য যে এই রঙটার ফ্যাশন আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়ালের কল্যাণে। এবং স্বভাবতই কিছু না বুঝে শুনেই আমাদের নারীরা অনুসরণ করছেন সেটা। আপনি কি জানেন, লাল লিপস্টিকের কি অর্থ? যদি জানতে পারেন যে লাল লিপস্টিক আপনাকে একজন কামার্ত মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করছে, তবুও কি আপনি তা ব্যবহার করবেন? হ্যাঁ, লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙানোর অর্থ হচ্ছে- ` আমি কামনায় কাতর ও মিলনে আগ্রহী ‘ … না, এটা আমার কথা নয়। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত ও বহুকাল যাবত প্রতিষ্ঠিত ঠোঁটে লাল রঙের এই অর্থ।
কীভাবে? আসুন, বিস্তারিত বলি
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে, নারী যখন যৌন মিলনের আগ্রহে অধীর হয়ে ওঠে, তখন তাঁর ঠোঁটে রক্ত জমা হয় ও ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে রক্তিম। কেননা নারীর ঠোঁটের সাথে যৌনাঙ্গের অনুভূতির সরাসরি যোগাযোগ আছে। নারীর যৌন উত্তেজনার বাহ্যিক লক্ষণগুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে ঠোঁট লাল হয়ে ওঠা।
অনেক প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ এটা জানত, এটা জানার জন্য বিশাল বিজ্ঞানী হতে হয় না। একান্ত মুহূর্তে এক ঝলক আয়না দেখলেই জেনে যাবেন এর সত্যতা। কৃত্রিম ভাবে ঠোঁটে এই লালচে আভা ফুটিয়ে তোলার জন্যই মূলত লিপস্টিক নামক প্রসাধনের আবিষ্কার। প্রাচীন নারীরা নানান রকম ফল, পান, ফুলের রস দিয়ে ঠোঁটকে রক্তিম করে তুলতেন পুরুষকে যৌন মিলনে আগ্রহী করে তুলতে আর নিজেকে যৌনতায় সক্ষম বোঝাতে। এখানে একটা বাংলা বহুল প্রচলিত গানের কথাও উল্লেখ করা যায়-`পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম, বন্ধু ভাগ্য হইল না।’ … স্বভাবতই দেখা যাচ্ছে যে লাল ঠোঁটের সাথে প্রেম ও নারী পুরুষের সম্পর্কের যোগাযোগের ব্যাপারটা বহুল প্রচলিত!
অনেক সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে ঠোঁট রাঙানোর বিষয়টা মূলত পতিতাবৃত্তি থেকে এসেছে। বিশেষ করে লাল রঙে ঠোঁট রাঙানোর বিষয়টি। পতিতারা ঠোঁট লাল রঙে রক্তিম করে তুলতেন আর সেটাই ছিল তাদের বিজ্ঞাপন। পুরুষকে বোঝানো যে- `আই এম সেক্সুয়ালি এভেইলেবল’ … মনে করে দেখুন প্রাচীন জাপানিজ যৌন কর্মীদের কথা, যাদেরকে আমরা `গেইসা ‘ নামে জানি। তাদের ধবধবে সাদা মুখ আর টকটকে লাল রঙে ঠোঁট রাঙানোর দৃশ্য মনে করুন।
কালের বিবর্তনে লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙানোর বিষয়টি সমাজে স্বীকৃতি পায়, বলাই বাহুল্য যে কিছু কোম্পানির ব্যবসায়িক ফন্দির কৌশলে। এবং খুব দ্রুত এই লিপস্টিক হয়ে ওঠে সৌন্দর্য চর্চায় অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। নানান রকমের ও বর্ণের লিপস্টিক চলে আসে বাজারে, আর নারীরা সেসব ব্যবহার করেন নিজেকে সাজাবার জন্য। তবে এত সব রঙের ভিড়েও লাল রঙের লিপস্টিক সর্বদাই বিবেচিত হয়ে এসেছে যৌন আবেদনের প্রতীক হিসেবে।
কি, এখনো মানতে কষ্ট হচ্ছে?
কি আছে, একটু মনে করে দেখুন। টকটকে লাল লিপস্টিক আপনারা কাদের ঠোঁটে দেখতে পান? প্রথমেই চোখে ভাসবে হলিউডের সেই সেক্স সিম্বল নায়িকা মেরিলিন মনরোর কথা। এবং একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন সে সেসব মডেল ও অভিনেত্রীদের ঠোঁটেই কেবল লাল রঙের লিপস্টিক দেখা যায়, যারা যৌনতার প্রতীক হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত।
যদি ভারতীয় সিনেমা সিরিয়ালে উদাহরণ খোঁজেন, তবে সেটাও আছে ভুরি ভুরি। সাধারণত আইটেম গানে যারা যৌন উত্তেজক নৃত্য করেন, কিংবা খল নায়িকা চরিত্রে যারা অভিনয় করছেন তাদের ঠোঁটে দেখা যাবে এই লাল রঙ। নায়িকা চরিত্রটি যদি একজন ভদ্র সাধারণ নারীর হয়ে থাকে, তাদের ঠোঁটে কখনো এই রঙ দেখতে পাবেন না। কারণ? ওই একটাই! লাল লিপস্টিক যৌন আবেদন ও আকর্ষণের প্রতীক। লাল লিপস্টিকের অর্থ এই যে আপনি যৌন উত্তেজনা বোধ করছেন বা যৌন মিলনে আগ্রহী।
ভারতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণে আমাদের নারীরা যে বয়স নির্বিশেষে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করেই যাচ্ছেন, সেটা আসলে কতটুকু শালীন বা আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে কতটুকুন যৌক্তিক? বেশিরভাগ নারীই একে ফ্যাশনের ট্রেন্ড মেনে নিয়ে ব্যবহার করছেন, নিজেকে প্রমাণ করছেন ফ্যাশন সচেতন। অথচ জানতেও পারছেন না যে নিজের অজান্তেই আপনি নিজেকে উপস্থাপন করছেন একজন কামার্ত মানুষ হিসেবে!
এই বছরটি ছিল ভারতীয় বাংলা ছবির টানিং পয়েন্ট। বস, দিওয়ানা, রংবাজের সঙ্গেই বঙঅফিসে চুটিয়ে রাজত্ব করেছে মিশর রহস্য, চাঁদের পাহাড়ার মতো ছবি। বাংলা বঙঅফিসে সত্যিই বদলের জোয়ার এনেছে ২০১৩। ২০১৪-য় বাঙালির পাতে থাকা সেরা পদগুলো-
১.জাতিস্মরঃ অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির জীবন নিয়ে ছবি জাতিস্মর। সৃজিত মুখার্জির পরিচালিত ছবির পোস্টার এর মধ্যেই জনপ্রিয়। নতুন বছরে জাতিস্মরের একেবারে অন্যরকম লুকে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
২.অপুর পাঁচালিঃ বাংলা ছবি থেকে শিশু অভিনেতাদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে ছবি অপুর পাঁচালি। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পর এবার অপুর জীবন নিয়ে সাদাকালো ছবি তৈরি করেছেন কৌশিক গাঙ্গুলি। ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে রয়েছেন পার্নো মিত্র।
৩.দ্যা মাফিয়াঃ ধুম এবার বাংলায়। ধুম থ্রি-র বাংলা রিমেক দ্যা মাফিয়া নিয়ে আসছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ছবিতে সহিরের ভূমিকায় রয়েছেন দেব, এসিপি রয় জিৎ, আলির চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। আলিয়ার চরিত্রে রয়েছেন কোয়েল মল্লিক। রয়েছে শুভশ্রীর আইটেম নাম্বার। ছবির মিউজিক করেছেন জিৎ গাঙ্গুলি ও প্রীতম। টলিউডের দুই সেরা বাজি দেব, জিৎ একসঙ্গে।
৪.বস টুঃ ২০১৩-র সুপারহিট ছবি বসের সিক্যুয়াল বস টু। বাবা যাদব পরিচালিত ছবিতে রয়েছেন তেরোর ফ্রেশ জুটি জিৎ-শুভশ্রী। বস-এর সাফল্যের পর থেকে বস টু নিয়ে বাজি লাগাচ্ছেন অনেকেই।
৫.পাগলু থ্রিঃ শঙ্কর থেকে আবার পাগলুতে ফিরছেন দেব। বঙঅফিসে পাগলু আর পাগলু টু-র সাফল্যই বলে দিচ্ছে কী হতে চলেছে পাগলু থ্রি-র ভাগ্য।
৬.অভিশপ্ত নাইটিঃ বিরসা দাশগুপ্তর ছবি অভিশপ্ত নাইটি দিয়ে ফিরছেন পাওলি দাম। পাওলির বিপরীতে রয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রাহল, প্রিয়াঙ্কা সরকার। ক্যামিও চরিত্রে রয়েছেন দেব। মুক্তির আগেই নামের জন্যই বিরসার ছবি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চরমে।
৭.বুনো হাঁসঃ সমরেশ মজুমদারের গল্পো নিয়ে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ছবি বুনো হাঁস। চাঁদের পাহাড়ের পর ফের অন্যরকম ছবিতে দেব। বিপরীতে রয়েছেন শ্রাবন্তী। ছবিতে রয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী, মুনমুন সেন, অরিন্দম শীল ও সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
৮.বচ্চনঃ তেরোয় বস ও দিওয়ানার মতো ছবির পর চোদ্দোয় এবার কমেডি দিয়ে লাক ট্রাই করতে প্রস্তুত জিতৎ। বহুদিন পর কোনও মূলধারার ছবির সব গানের শুটিং হয়েছে কলকাতায়। রাজা চন্দ পরিচালিত ছবিতে জিতের বিপরীতে রয়েছেন কন্নড় ছবির বাঙালি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিতা রায়। রয়েছেন পায়েল সরকারও। কন্নড় ছবি বিষ্ণুবর্ধনের রিমেক বচ্চন। তবে ছবির মূল আকর্ষণ শুভশ্রীর আইটেম নম্বর।
৯.অরুন্ধতীঃ উনবিংশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক গল্পো নিয়ে সুজিত মন্ডলের ছবি অরুন্ধতী। রোম্যান্টিক হিরোইনের তকমা থেকে প্রথমবার যুদ্ধংদেহী রানির ভূমিকায় কোয়েল। রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, রাহুল ব্যানার্জি। চরিত্রের জন্য ঘোড়ায় চড়া, অসিচালনা শিখেছেন কোয়েল। ভেঙ্কটেশ ও সুরিন্দর ফিল্মসের যুগ্ম প্রযোজনা অরুন্ধতী।
১০.হাইওয়েঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের রয়েছেন কোয়েল মল্লিক। সুরিন্দর ফিল্মস প্রযোজিত ছবিতে মিউজিক দিয়েছেন অনুপম রায়।
বিষণ্ণতা একটি মানসিক ব্যাধি। দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতা কোন এক পর্যায়ে গড়াতে পারে আত্মহত্যা পর্যন্ত। সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিংবা আবেগের উর্ধ্বে উঠে ও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে।তবে ওষুধ যতোটা এড়িয়ে চলা যায়, ততোটাই মঙ্গল।
বিষণ্ণতার মাত্রা নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরিমিত মাত্রায় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
কখন বুঝবেন আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন? তা জানতে বিশেষজ্ঞদের দর্শানো বিষণ্ণতার বেশ কয়েকটি উপসর্গ এখানে তুলে ধরা হলো। এর মধ্যে তিন বা চারটি উপসর্গও যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায়, তবে অবশ্যই মুক্তির পথ খুঁজুন।
১) প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিকমতো সমাধা করতে না পারা।
২) অবসন্নতা, আলস্য, তন্দ্রা, অবসাদ, ক্লান্তিতে ভোগা ও যে কোন কাজে অনেক বেশি সময় নেয়া।
৩) দীর্ঘস্থায়ী মনোকষ্ট, মন খালি খালি লাগা, শূন্যতার অনুভূতি, হতাশা, উদ্বেগ।
৪) কমপক্ষে ২ সপ্তাহ একটানা মন খারাপ থাকা।
৫) নিজেকে একেবারে মূল্যহীন মনে হওয়া, অপরাধবোধে ভোগা ও নিজের সম্পর্কে নিচু ধারণা পোষণ করা।
৬) স্বাভাবিকের চেয়ে খুব বেশি কিংবা কম ঘুমানো বা নিদ্রাহীনতায় ভোগা।
৭) ওজনের অস্বাভাবিক হ্রাস বা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত খাওয়া, খাবারে অরুচি।
৮) কাজে মন দিতে না পারা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ও ভুলে যাওয়া।
৯) হতাশায় ভোগা, জীবনকে অর্থহীন ও নিজেকে ব্যর্থ মনে হওয়া।
১০) শরীর ব্যথা করা, বদহজম, মাথাব্যথা বা অন্য কোন ব্যথা।
১১) অতিরিক্ত অস্থিরতা বা চঞ্চলতা।
১২) আত্মহত্যার চিন্তা বা প্রবণতা মনের মধ্যে আসা ও নিজের জীবন শেষ করার চেষ্টা।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেন নদীতে বিয়ারের ক্যানটি পড়ে গিয়েছিল জন ম্যাকডোনাল্ডের হাত থেকে। ৬০ বছর বয়সী জন পেশায় জেলে। কিছুক্ষণ পর ক্যানটি পানি থেকে তুলে নেন তিনি। এরপর ক্যান থেকে বিয়ার পান করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাসের ঘটনা এটি। বিয়ার পানের পরই অস্বাভাবিকভাবে জনের পেট ফুলতে শুরু করে। ভীষণ ঘাবড়ে যান তি
নি। কিভাবে এমনটা ঘটলো কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। কঠিন অসুখে পড়লেন। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলো তাকে। চিকিৎসকরা জানালেন, পাকস্থলী ফেটে গেছে। আর, এজন্য তাকে ৪ বার অপারেশন টেবিলে যেতে হয়েছে। বহু ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেছেন। প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স পূর্ণ করতে হয়েছে। আজও জন পুরোপুরি সুস্থ নন। তার পেটের ওপর হার্নিয়ার মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাংসপিণ্ড তৈরি হয়েছে। তিনি চান, বিশ্ববাসী তার এ ঘটনা জানুক ও তার জন্য প্রার্থনা করুক। জনের বিশ্বাস, কারও প্রার্থনা হয়তো কাজে লেগে যেতেও পারে ও তিনি অচিরেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। জন চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাকে সাহায্য করতে। অবশ্যই, আর্থিক সাহায্য নয়। তিনি তার সন্তান ও ছোট ছোট নাতি-নাতনিদের জন্য ভালোভাবে বাঁচতে চান। সে জন্য অচিরেই সেরে ওঠাটা তার ভীষণ প্রয়োজন। সবার মধ্যে থেকে জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চান জন ম্যাকডোনাল্ড।
আধুনিকতা মানুষকে সভ্য করছে নাকি আরও করছে অসভ্য এটা বর্তমান সময়ের একটি মূল্যবান প্রশ্ন। একটা সময় ছিল যখন মানুষ অসভ্য জীবন-যাপন করতো। এরপর সভ্যতার সূত্রপাত হওয়ার পর মানুষ ধীরে ধীরে সভ্য সমাজ গড়ে তুলেছে। গত কয়েক দশক আগেও মানুষ সমাজে সভ্য ভাবে বাস করতো। কিন্তু পৃথিবী আধুনিক হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করার পর থেকে মানুষও ভুলতে বসেছে লজ্জা ও সভ্য সমাজ ব্যবস্থা। বিশ্বে এখন নারী-পুরুষ এমন কি পরিবারের সবাই মিলে এক সাথে নগ্ন হয়ে সময় কাটায়।
বিশ্বের এমন অনেক স্থান আছে যেখানে মানুষেরা নগ্ন হয়ে সময় কাটায়। আমরা ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের কিছু অংশের নগ্ন স্থান সমূহের সাথে পরিচিত হয়েছি। আজ আমরা আমেরিকার বাকি অংশ ও আফ্রিকার নগ্ন স্থান সমূহের সাথে পরিচিত হবো।
নিউইয়র্ক: মোরাভিয়ার ইমপেয়ার হ্যাভেন, স্পারাকার্সের ফুল টন সান ক্লাব, ক্যাটসকিলের জুনিপার উডস, চেরি গ্রোভের চেরি গ্রোভ সৈকত সহ এই সৈকত ও ক্লাবগুলো জনসাধারণের জন্য নগ্ন স্থান। এখানে নারী-পুরুষ ও স্বামী-স্ত্রীরা নগ্ন হতে পারে।
অহিও: গ্রিন ভ্যালি, প্যারাডাইস গার্ডেন ও চেদার ট্রাইলস নামক এই স্থানগুলো অহিও অঙ্গরাজ্যের প্রধান নগ্ন স্থান। এই স্থানগুলোতে নর-নারীরা নগ্ন হওয়ার সুবিধা লাভ করে।
ওকলাহোমা: তুলসা ও ওকলাহোমা শহরের মাঝে অবস্থিত ওকলাকি ট্রাইলস একটি বৃহৎ নগ্ন ক্লাব। ৪০০ একর জমির উপর অবস্থিত এই নগ্ন ক্লাবটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম নগ্ন ক্লাব। এখানে সুইমিং পুল, বিনোদন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ইভেন্টের ব্যবস্থা আছে। এখান থেকে লোকেরা নগ্ন ভাবে হাইকিং এর সুবিধা পায়।
পেনসেলভেনিয়া: পালমেরটনের সানি রেস্ট, পেন মার ক্লাব সহ বেশ কিছু নগ্ন ক্লাব ও বিশেষ স্থান রয়েছে পেনসেলভেনিয়াতে। এই স্থান গুলোতে নর-নারীরা নগ্ন হবার সুযোগ পায়।
টেক্সাস: অস্টিন এর উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত হিপপি হলো একটি নগ্ন পার্ক। সাউথ প্যাডরে আইল্যান্ড এর ১২ মাইল এলাকা নগ্নতার জন্য সীমাবদ্ধ। এই স্থানগুলো ছাড়াও টেক্সাসে অনেক নগ্ন স্থান আছে, যেগুলোতে কোনটি পুরুষ, কোনটি নারী আবার কোনটি পারিবারিক নগ্নতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ভারমোন্ট: ভারমোন্ট অঙ্গরাজ্যের কোথাও নগ্নতা অবৈধ নয়, ফলে এই রাজ্যের যেকোনো স্থানে নগ্ন হওয়া যায়। বুলিংটন শহর থেকে শুরু করে যেকোনো স্থানে খুব নিরাপদেই নগ্ন হয়ে চলাফেরা করা যায়। এই এলাকার সকল রিসোর্ট, ক্লাব ও পার্কগুলো নগ্নতায় পরিপূর্ণ। এখানে অন্যতম প্রধান কয়েকটি নগ্ন স্থান হচ্ছে, এবোটাস গ্লেন, কভেন্ট্রি ক্লাব ও রিসোর্ট, দি লেগাজ, স্টার ফার্ম বিচ, নাইট আইল্যান্ড ইত্যাদি। দি পান্চবোল এখানের একটি বিখ্যাত নগ্ন স্থান। এখানে নারী-পুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও পারিবারিক ভাবে সবার গোসল করা, সাতার কাটা, সূর্যস্নান, সময় কাটানো সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আছে।
ওয়াশিংটন: আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনেও রয়েছে বেশ কয়েকটি নগ্ন স্থান। ওয়েস কনসন নদীতে মাজো সৈকত, ক্যামব্রিজের ভ্যালি ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব, বার্লিংটনের সান রে হিলস নিউডিস্ট ক্লাব, নর্থ ফিল্ডের অরোরা গার্ডেন, চিদার হিলস সহ এই নগ্ন স্থান গুলোতে নর-নারীরা সমবেত হয়ে নগ্ন হয়ে সময় কাটাতে পারে ও বিভিন্ন বিনোদনে অংশ গ্রহণ করে থাকে।
এই হচ্ছে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন এলাকার নগ্ন স্থান সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় বা তালিকা। এখানে প্রধান প্রধান স্থানগুলোর কথা বলা হয়েছে। এই স্থানগুলো ছাড়াও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে দেশে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে রয়েছে আরও অনেক ছোট-বড় নগ্ন সৈকত, ক্লাব, রিসোর্ট, দ্বীপ, বার, রিক্রিয়েশন সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র। এই স্থানগুলোতে নর-নারী, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে নগ্ন হয়ে সময় কাটানো যায়। উত্তর আমেরিকার প্রত্যেকটি দেশে প্রকাশ্যে নগ্ন হওয়া বা উলঙ্গ হওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার।
উত্তর আমেরিকার আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় নগ্ন স্থান সমূহ এই গুলো। এই স্থান সমূহে খুব সহজে নগ্ন বা উলঙ্গ হওয়া যায়। এবার আসুন আমরা দেখি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সমূহের নগ্ন স্থান সমূহ কোথায় জেনে আসি।
আর্জেন্টিনা: বুয়েন্স আয়ার্সের মিরামার নিকটে মার ডেল প্লাটা থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে প্লিয়া ইসকনডিডা একটি নগ্ন সৈকত। যেখানে নর-নারীরা নগ্ন হয়ে হয়ে সান-বাথ, গোসল ও চলাফেরা করতে পারে।
ব্রাজিল: ব্রাজিলের প্রাইয়া ডু পিনহো ও তামবাবা সৈকত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নগ্ন ও যৌনতায় ভরা স্থান। এই স্থানটিতে নগ্ন হওয়া সরকারিভাবে বৈধ। জনসাধারণ অতি সহজে এখানে উলঙ্গ হতে পারে ও গোসল করা, সাতার কাটা ও যৌনতায় মগ্ন হতে পারে। তামবাবা সৈকতটি পারাইবা অঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত। রিও ডি জেনোরিওর দক্ষিণে প্রাইয়া ডু এবরিকো সৈকতটি একটি নগ্ন সৈকত। যেখানে নগ্নতার ছড়াছড়ি। এছাড়াও বাহায়া অঙ্গ রাজ্যের মাসসারানডুপিও ও ইসপিরিটো সানটো রাজ্যের বাররা সিকো সৈকতটি নগ্ন। এসকল স্থানে উলঙ্গ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানো যায়।
চিলি: ভ্যালপারাইসোর উত্তরে সেলেটা হরকনের নিকটে প্লেয়া লুনা সৈকতটি নগ্ন স্থান। যেখানে নগ্ন হওয়ার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।
কলম্বিয়া: তাইরোনা পার্ক কলম্বিয়ার একটি নগ্ন স্থান। নর-নারীরা এই স্থানে নগ্ন হতে পারে।
উরুগুয়ে: উরুগুয়ের সকল সমুদ্র সৈকতে নারীদের উলঙ্গ হয়ে সময় কাটানোর বৈধতা আছে। তবে কেউ যদি উলঙ্গ নারীর প্রতি কোস্ট গার্ডের কাছে অভিযোগ করে তবে সেই নারীকে পোশাক পরতে বলা হয়। আদেশের পর সেই নারী যদি পোশাক না পরে তবে তাকে সৈকতে অবাঞ্ছিত করা হয়।
এতক্ষণ আমরা আমেরিকা তথা উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের নগ্ন স্থান সমূহের সাথে পরিচিত হলাম। আসুন এবার আফ্রিকা মহাদেশের নগ্ন স্থান সমূহের সাথে পরিচিত হয়।
আফ্রিকা মহাদেশ:
আফ্রিকায় খুব একটা নগ্ন স্থান নেই। হাতে গোনা কয়েকটি স্থান রয়েছে যেখানে নর-নারীরা নগ্ন হতে পারে। যার অধিকাংশই আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত। আফ্রিকার প্রধানত নগ্ন স্থান সমূহ হচ্ছে,
* দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের স্যান্ডি বে একটি আধা উলঙ্গ সৈকত। যেখানে নারী-পুরুষেরা একসাথে গোসল করতে পারে।
* দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্ট লন্ডনের কাছে রয়েছে একটি আন অফিসিয়াল নগ্ন সৈকত। এখানে অফিসিয়ালি নগ্নতাকে স্বীকার করা হয় না। তবে ইচ্ছা করলে যে কেউ উলঙ্গ হতে পারে।
* দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের উত্তরে উমহালানগা রক একটি নগ্ন স্থান, তবে এটিও অফিসিয়ালি স্বীকৃত নয়।
* দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহার্নেসবার্গের সান ইডেন, হারমোনি নেচার ফার্ম ও কাইপারসোল তিনটি নগ্ন রিসোর্ট। এই রিসোর্টে নর-নারীরা নগ্ন হতে পারে এবং যৌনতায় সামিল হতে পারে অবাধে।
* দক্ষিণ আফ্রিকার মাকোলোকয়ের ভোয়েলকপ একটি নগ্ন রিসোর্ট। যেখানে শুধুমাত্র পুরুষেরা নগ্ন হতে পারে।
* দক্ষিণ আফ্রিকার বেলা-বেলার ম্যানফিল্ডস একটি নগ্ন রিসোর্ট। যেখানে ভোয়েলকপ রিসোর্টের মতো শুধুমাত্র পুরুষেরা নগ্ন হতে পারে।
আফ্রিকা একটি জঙ্গল সমৃদ্ধ মহাদেশ। এই মহাদেশে শিক্ষার আলো খুব কমই পৌঁছেছে। আফ্রিকার অনেক অংশে সভ্যতার কোনও ছোঁয়া লাগেনি। ফলে সেই সকল স্থানে মানুষরা এখনও আদিম মানুষের মতো বসবাস করে। তারা সমাজ বদ্ধ ভাবে বাস করে, পশু শিকার করে জীবন নির্বাহ করে। এমন অনেক অধিবাসী আছে যারা আজও পোশাক পরিধান করে না, আবার পরলেও অর্ধ নগ্ন অবস্থায় থাকে। সেই সকল স্থান সমূহকে সাধারণত নগ্ন স্থান হিসেবে বিচার করা হয় না। কারণ, এই স্থান সমূহ বিনোদন কেন্দ্র বা ইচ্ছাকৃত নগ্ন হয়ে সময় কাটানোর জায়গা নয়।
ভালো লাগলে শেয়ার করুন
লজ্জাবতী পাতা ছুঁলে নুয়ে পড়ে কেন?
ছোঁয়া লাগলে লজ্জাবতী গাছের পাতা নুয়ে পড়ে এই পরীক্ষা করে জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছিলেন যে, মানুষের মতো গাছেরও অনুভূতি আছে। লজ্জাবতীর ছোট ছোট পত্রগুলো আলো পেলে খুলে যায়, অন্ধকারে বন্ধ হয়, কিন্তু হঠাৎ ছুঁলে পাতা নুয়ে পড়ে এবং ছোট পত্রগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। লজ্জাবতীর পাতা কেন নুয়ে পড়ে, এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। লজ্জাবতী পাতার গোড়া একটু ফোলা থাকে। এর ভেতরে বড় বড় অনেক কোষ আছে। ওইসব
কোষ যখন পানিভর্তি হয়ে ফুলে ওঠে তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাৎ পাতা ছুঁলে ওই ফোলা কোষগুলো থেকে পানি বাইরে বেরিয়ে পেছন দিককার কোষে চলে যায়। ফলে কোষগুলো চুপসে পড়ে। চুপসানো কোষে পানির চাপ কম থাকে। তাই লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটিও আর সোজা থাকতে পারে না, নিচের দিকে নুয়ে পড়ে। যে পাতাটিকে ছোঁয়া হয়, এ ব্যাপারটা শুধু যে তার মধ্যেই নজরে আসে এমন নয়। আস্তে আস্তে তা উপর-নিচে সব পাতায়ই ছড়িয়ে যায় এবং এভাবে সব পাতাই নুয়ে পড়ে। শুধু পাতাগুলোই নুয়ে পড়ে না, পাতার ছোট ছোট পত্রগুলোও জোড়া লেগে বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে একটা তড়িৎ প্রবাহ গাছের সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 'অ্যাসিটাইল কেলিন' জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে এই তড়িৎ প্রবাহিত হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ খুবই দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে যেতে পারে।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগার গুয়ানতানামো বে
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কারাগারটির নাম গুয়ানতানামো বে। সিআইএ ও মার্কিন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন গুয়ানতানামো বে বন্দীশিবির বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষের আগ্রহের এক কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি না থাকায় প্রায় এক দশক সেখানে বহিরাগত কারও পা পড়েনি। বেশ কয়দিন আগে একাধিক সাংবাদিকের সুযোগ হয়েছে কারাগারটি পরিদর্শনের। আর তাদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এ কারাগারের দুর্ধর্ষ চিত্র।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্দীশিবির। আরও সহজ করে বললে, বন্দী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক আলোচিত কারাগার। এ কারাগারের মালিক পরাশক্তির শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের চোখে যারা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, তাদের আটক করার পর সেখানে বন্দী করে রাখা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের বিচারের জন্য নেওয়া হয় বিচ্ছিন্ন এ কারাগারে। ২০০২ সাল থেকে বন্দী নির্যাতনের জন্য আলোচনায় আসে গুয়ানতানামো বে কারাগার। মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ দ্বীপে সাধারণ পর্যটক তো দূরের কথা, কোনো সংবাদকর্মী বা মানবাধিকার কর্মীর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। তবে ২০০২ সালে যখন বন্দী নির্যাতনের জন্য বিশ্বব্যাপী এ কারাগারটি নিয়ে মার্কিন প্রশাসন নিন্দার মুখে পড়ে, তখন বেশকিছু ভিডিওচিত্র গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। ওইসব ভিডিওচিত্রে দেখানো হয়, মার্কিন সেনারা বন্দীদের কমলা রঙের পোশাকে আবৃত করে চোখ-মুখ বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করছে। এর পর থেকে দীর্ঘদিন কোনো সংবাদকর্মীকে এ কারাগারের ধারেকাছে ভিড়তে দেওয়া হয়নি।
২০০৮ সালে বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের জন্য লিখিত আদেশ দেন। তিনি বলেছিলেন কারাগারটির স্থাপন, পরিচালনা সবই অসাংবিধানিক। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব এর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলেন কিন্তু এখনো তার সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয়নি।
আল-জাজিরার এক নিবন্ধে বলা হয়, গুয়ানতানামো দ্বীপটি যেন আইনের বাইরে। মার্কিন বাহিনী নিয়ন্ত্রিত গুয়ানতানামো বে কারাগারে এখনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী সন্দেহে বিভিন্ন দেশের ১৭১ জন বন্দী আটক আছে। ইতোমধ্যে ৮০০ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। গুয়ানতানামো বে কারাগারে বর্বরভাবে বন্দীদের নির্যাতন করা হয়। তাদের নির্দয়ভাবে পিটানো হয়। ঘুমাতে দেওয়া হয় না ঠিকভাবে। মানসিক নির্যাতনও চলে। অতি উচ্চ বা নিম্ন তাপমাত্রায় রাখা হয়। আর দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকার এক প্রকোষ্ঠে আটকে রাখা হয়। যাদের গুয়ানতানামো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, মনে করা হয়, তারা সবাই সন্ত্রাসী, জঙ্গি। তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধরে আনা হয়েছে। তাদের কোনো আইনি অধিকার নেই। প্রকৃতপক্ষে, মোট বন্দীদের মধ্যে কেবল কিছুসংখ্যক বন্দীকে মার্কিন বাহিনী গ্রেফতার করে। বেশির ভাগ বন্দীই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জঙ্গি, বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তা।
গুয়ানতানামো বে কারাগারে প্রতিনিয়ত মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে মার্কিন বাহিনী। যার ফলে বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মানুষের মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো প্রশ্নের সম্মুখীন। মার্কিন সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা আছেন, যারা স্বীকার করেন গুয়ানতানামো বে কারাগারের কারণে অনেক সময় নতুন করে জঙ্গি, সন্ত্রাসী তৈরি হচ্ছে। তারা অনেক বেশি হিংস্র ও ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছে মার্কিন বাহিনীর ওপর। প্রতিশোধপরায়ণও হয়ে উঠছে অনেকে। ফলে মার্কিনিদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় আরও বাড়ছে। এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন বন্দীকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে কারাগারটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকে।
এ বন্দীশিবিরে যাদের আটক রাখা হয়েছে, তারা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু বলে পরিচিত। এদের কেউ অস্ত্র নির্মাতা, কেউ সন্ত্রাসীদের শীর্ষ নেতা, আবার কেউ বা যুক্তরাষ্ট্রে বিধ্বংসী হামলা পরিচালনার পরিকল্পনাকারী। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত যুদ্ধে নিয়োজিত ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনাদের হত্যাকারীদের শাস্তি দিতে বন্দীদের এখানে আনা হয়। বিশেষ করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক সব সন্ত্রাসীকে রাখা হয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে বর্তমানে এ কারাগারে বন্দীর সংখ্যা প্রায় ২০০।
গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধ করা বা চালু রাখা নিয়ে আসলে মার্কিন সরকারের অনেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠানও দায়ী। এদিকে কংগ্রেস চাইলে এটি বন্ধ করে দিতে পারে। কংগ্রেস সদস্যরা খুব ভালোভাবেই জানেন, গুয়ানতানামো কারাগার সম্পর্কে কোনটি সঠিক আর কোনটি সঠিক নয়। কিন্তু তারা কারাগারটি বন্ধের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী নন বা ত্বরিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না।
জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী প্রতিটি বন্দী, তাকে আটকে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। এ ব্যাপারে আদালতের কাছে তিনি বিচার চাইতে পারেন। কিন্তু গুয়ানতানামো কারাগারের বন্দীরা এ অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
গত বছরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার ৪০ বছর বয়সী ভ্যানচালক জিন্নত আলী। কিন্তু তিনি পাস করতে পারেননি। কষ্ট পেলেও হতাশ না হয়ে এবারও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছিল তাঁর বড় ছেলে শরীফুল। গতকাল সোমবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল বাবা-ছেলে দুজনই পাস। তবে বিশেষ করে জিন্নত আলীর পাসের খবরে খুশির উচ্ছ্বাস বয়ে যায় গোটা স্কুলসহ এলাকায়।
ছেলের সঙ্গে বাবাও পাস
পড়াশোনা শুরু করার সময়টা সম্পর্কে জিন্নত আলী বলেন, তিনি উপজেলা সদর থেকে এলাকার স্কুলে ভ্যানযোগে বই আনা-নেওয়া করতেন। বই দেখে তাঁর শুধু মনে হতো, এগুলো পড়তে পারলে কী মজাই না হতো! এর আগে তিনি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রে পড়েছিলেন। কিন্তু তখন পড়াশোনা আর এগোয়নি। জিন্নত আলী নিজের এমন ইচ্ছার কথা জানান প্রতিবেশী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাপ মাস্টারকে। গোলাপ মাস্টার ভ্যানচালক জিন্নত আলীর আগ্রহ দেখে তাঁকে ক্লাস ওয়ানের কয়েকটি বই দেন পড়ার জন্য। ২০০৮ সালের কথা এটি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সময়ে সময়ে গোলাপ মাস্টার তাঁকে পড়াতেন। এরপর একদিন শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আফরোজাকে ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিন্নত আলী। ম্যাডামও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে জিন্নত আলীকে স্কুলে ভর্তি হতে বলেন। জিন্নত আলী শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ম্যাডাম তাঁকে বইপত্রও দেন। এর পর থেকে প্রতিবছর পরীক্ষা দিয়ে জিন্নত আলী ওপরের ক্লাসে উঠতে থাকেন। গত বছর জিন্নত আলী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু তিনি পাস করতে পারেননি। এ ব্যাপারে জিন্নত আলী বলেন, 'আমি অঙ্কে খারাপ করেছিলাম।'
পড়াশোনার ব্যাপারে জিন্নত আলী বলেন, 'আমি সব সময় স্কুলে যাইবার পারতাম না। আবার গেলেও সবডা সময় কেলাসে থাকবার পারতাম না। কিন্তু যখন ভ্যান চালাইতাম আর মাল বইতাম, তখন সুযোগ পাইলেই বই পড়তাম। একটু লেহালেহিও করতাম। আমার পড়াশুনা দেইখ্যা অনেক মানুষই কইছে, তুমি থাইম না।' জিন্নত আলী বলেন, 'আমি এত কষ্ট করে পড়াশুনা করেছি। আমি মনে করি, যে কেউ ইচ্ছা করলেই পড়াশুনা করতে পারে।' ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে জিন্নত আলী বলেন, কয়েকটি অক্ষর শিখলেই মানুষ টিপসইয়ের বদলে স্বাক্ষর দিতে পারে। তিনি চান মানুষ যেন আর টিপসই না দেয়। নিজের ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জিন্নত আলী বলেন, বড় ছেলে শরীফুল তাঁর সঙ্গেই পাস করেছে। তবে ছেলের নম্বর তাঁর চেয়ে বেশি। ছোট অন্য ছেলেটি প্রথম শ্রেণীতে এবং একমাত্র মেয়ে শিশু শ্রেণীতে পড়ে।
জিন্নত আলীর নিজ স্কুল ফুলবাড়িয়ার শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাধবী সাহা বলেন, 'জিন্নত প্রমাণ করল, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। বয়স হলেও শিক্ষায় কোনো লজ্জা নেই। ফুলবাড়িয়ার জিন্নত আলী এখন এক জীবন্ত উদাহরণ।'