লজ্জাবতী পাতা ছুঁলে নুয়ে পড়ে কেন?
লজ্জাবতী পাতা ছুঁলে নুয়ে পড়ে কেন?
ছোঁয়া লাগলে লজ্জাবতী গাছের পাতা নুয়ে পড়ে এই পরীক্ষা করে জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছিলেন যে, মানুষের মতো গাছেরও অনুভূতি আছে। লজ্জাবতীর ছোট ছোট পত্রগুলো আলো পেলে খুলে যায়, অন্ধকারে বন্ধ হয়, কিন্তু হঠাৎ ছুঁলে পাতা নুয়ে পড়ে এবং ছোট পত্রগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। লজ্জাবতীর পাতা কেন নুয়ে পড়ে, এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। লজ্জাবতী পাতার গোড়া একটু ফোলা থাকে। এর ভেতরে বড় বড় অনেক কোষ আছে। ওইসব
কোষ যখন পানিভর্তি হয়ে ফুলে ওঠে তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাৎ পাতা ছুঁলে ওই ফোলা কোষগুলো থেকে পানি বাইরে বেরিয়ে পেছন দিককার কোষে চলে যায়। ফলে কোষগুলো চুপসে পড়ে। চুপসানো কোষে পানির চাপ কম থাকে। তাই লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটিও আর সোজা থাকতে পারে না, নিচের দিকে নুয়ে পড়ে। যে পাতাটিকে ছোঁয়া হয়, এ ব্যাপারটা শুধু যে তার মধ্যেই নজরে আসে এমন নয়। আস্তে আস্তে তা উপর-নিচে সব পাতায়ই ছড়িয়ে যায় এবং এভাবে সব পাতাই নুয়ে পড়ে। শুধু পাতাগুলোই নুয়ে পড়ে না, পাতার ছোট ছোট পত্রগুলোও জোড়া লেগে বন্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে একটা তড়িৎ প্রবাহ গাছের সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 'অ্যাসিটাইল কেলিন' জাতীয় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে এই তড়িৎ প্রবাহিত হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ খুবই দ্রুত এক কোষ থেকে আরেক কোষে যেতে পারে।
0 comments
Write Down Your Responses