বিষণ্ণতা একটি মানসিক ব্যাধি।
বিষণ্ণতা একটি মানসিক ব্যাধি। দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতা কোন এক পর্যায়ে গড়াতে পারে আত্মহত্যা পর্যন্ত। সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিংবা আবেগের উর্ধ্বে উঠে ও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে।তবে ওষুধ যতোটা এড়িয়ে চলা যায়, ততোটাই মঙ্গল।
বিষণ্ণতার মাত্রা নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরিমিত মাত্রায় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
কখন বুঝবেন আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন? তা জানতে বিশেষজ্ঞদের দর্শানো বিষণ্ণতার বেশ কয়েকটি উপসর্গ এখানে তুলে ধরা হলো। এর মধ্যে তিন বা চারটি উপসর্গও যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায়, তবে অবশ্যই মুক্তির পথ খুঁজুন।
১) প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিকমতো সমাধা করতে না পারা।
২) অবসন্নতা, আলস্য, তন্দ্রা, অবসাদ, ক্লান্তিতে ভোগা ও যে কোন কাজে অনেক বেশি সময় নেয়া।
৩) দীর্ঘস্থায়ী মনোকষ্ট, মন খালি খালি লাগা, শূন্যতার অনুভূতি, হতাশা, উদ্বেগ।
৪) কমপক্ষে ২ সপ্তাহ একটানা মন খারাপ থাকা।
৫) নিজেকে একেবারে মূল্যহীন মনে হওয়া, অপরাধবোধে ভোগা ও নিজের সম্পর্কে নিচু ধারণা পোষণ করা।
৬) স্বাভাবিকের চেয়ে খুব বেশি কিংবা কম ঘুমানো বা নিদ্রাহীনতায় ভোগা।
৭) ওজনের অস্বাভাবিক হ্রাস বা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত খাওয়া, খাবারে অরুচি।
৮) কাজে মন দিতে না পারা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ও ভুলে যাওয়া।
৯) হতাশায় ভোগা, জীবনকে অর্থহীন ও নিজেকে ব্যর্থ মনে হওয়া।
১০) শরীর ব্যথা করা, বদহজম, মাথাব্যথা বা অন্য কোন ব্যথা।
১১) অতিরিক্ত অস্থিরতা বা চঞ্চলতা।
১২) আত্মহত্যার চিন্তা বা প্রবণতা মনের মধ্যে আসা ও নিজের জীবন শেষ করার চেষ্টা।
0 comments
Write Down Your Responses